ইউরোপীয় ইউনিয়ন 5 নভেম্বরের নির্বাচনের পর হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য একটি র‍্যাপিড রিয়্যাকশন ফোর্স গঠন করেছে। পলিটিকোর মতে, ব্রাসেলস কেবল শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাতেই প্রস্তুত নয় বরং প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে যেকোন আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করে একজন সিনিয়র ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেছেন, "আমরা দ্রুত পাল্টা আঘাত করব এবং আমরা কঠোরভাবে পাল্টা আঘাত চালাব।"

2018 সালে, যখন ট্রাম্প শুধুমাত্র কানাডা এবং মেক্সিকোকে বাদ দিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, ইউরোপ ব্যাপক বেকায়দার মধ্যে পড়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে. ব্রাসেলসের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখার কোন পরিকল্পনা নেই কারণ নতুন শুল্ক আইন সম্ভাব্যভাবে ইউরোপীয় শিল্পখাতকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এর পরিবর্তে, ইইউ-এর নীতিনির্ধারকরা মনে করেন যে তাদের প্রতিক্রিয়া যত শক্তিশালী হবে, ট্রাম্প তত দ্রুত আলোচনার টেবিলে আসবেন এবং তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবেন।

আশ্চর্যজনকভাবে, ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের ইউরোপীয় বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্জোরি চোরলিন্স এই খবরে বিভ্রান্ত হননি। ইইউ সতর্কতার সাথে কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে, তারা পুরোপুরি সচেতন যে শুল্কের প্রতি ট্রাম্পের সখ্যতা বাণিজ্য উত্তেজনার একটি নতুন অধ্যায়কে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।

তার প্রচার সমাবেশে, ট্রাম্প ইতোমধ্যেই বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং কারখানাগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে ইইউ পণ্যের উপর শুল্ক প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্রাসেলস ধারণা করছে যে ইউরোপীয় অর্থনীতির গুরুতর নেতিবাচক পরিণতি এড়াতে এ ব্যাপারে দ্রুত এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য।

দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইইউ একটি পাল্টা-কৌশল তৈরি করছে যার মধ্যে মার্কিন আমদানিতে উচ্চ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই ট্রাম্প যদি আবার ইউরোপের সাথে মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেন, তাহলে ব্রাসেলস পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।