আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আরেকটি নেতিবাচক পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে যা দেখে অনেকটা সিনেমার বিপর্যয়কর কোন দৃশ্যের মতো মনে হচ্ছে: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ, বিস্ময়করভাবে বৈশ্বিক মোট মাথাপিছু ঋণ $100 ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আইএমএফ-এর মতে, বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু ঋণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ এই ঋণের পরিমাণ বৈশ্বিক জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের 93%-এ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে, মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ সম্ভাব্যভাবে বৈশ্বিক জিডিপির সমান হতে পারে, যার অর্থ এই যে যদি পৃথিবীকে কোন কর্পোরেশন হিসেবে কল্পনা করে নেয়া হয়, তবে নিশ্চিতভাবেই এই কর্পোরেশনের শেয়ারের দাম তলানিতে পৌঁছাবে। যাইহোক, এখানেই শেষ নয়। মারাত্মক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, এমনকি এই মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বৈশ্বিক জিডিপির 115% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করবে।

আইএমএফ সতর্ক করেছে যে এই বিশাল ঋণের বোঝা বিশ্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে পারে, সম্ভাব্যভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তীব্র মন্দা পরিলক্ষিত হবে।

ব্লুমবার্গ ইতোমধ্যেই এই ধরনের আর্থিক পরিস্থিতিকে "টাইম বোমা" হিসেবে অভিহিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যে ঋণের মাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনই সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলোও বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, তারা সরকারদেরকে বাজেটের সীমা সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান।