সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার ফ্ল্যাট প্যাটার্নে ট্রেড করেছে। পূর্বে, আমরা 1.1091–1.1191 এর চ্যানেলের কথা উল্লেখ করেছি, কিন্তু এখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1132-1.1191 রেঞ্জের মধ্যে থাকার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে৷ অন্য কথায়, ফ্ল্যাট রেঞ্জটি সংকীর্ণ হয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে অবস্থিত। যথারীতি, এই পেয়ারের মূল্য কারেকশন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে জেরোম পাওয়েলের গতকালের বক্তব্য থেকে সমর্থন পেয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যুয়ান বলেছেন যে শ্রম বাজার সম্প্রতি অস্থিতিশীল হয়েছে কিন্তু এটি সাধারণত স্থিতিশীল থাকে এবং এ নিয়ে কোন উদ্বেগ নেই। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাশা অনুযায়ী মার্কিন অর্থনীতি ইতিবাচক গতিশীলতার সাথে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে। এই বিবৃতিগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর সম্ভাবনা কম। যাইহোক, এমনকি এই ধরনের হকিশ বা কঠোর অবস্থান ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করতে সাহায্য করেনি। আমরা কেবল আরেকটি ছোটখাট পুলব্যাক দেখেছি, এবং তাও ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে। এই সপ্তাহে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ভিত্তিতে নভেম্বরে সুদের হার 0.5% কমানোর সম্ভাবনার ব্যাপারে ট্রেডাররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে৷
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.1189–1.1191 এরিয়া ভেদ করে, কিন্তু এই বাই সিগন্যালটি ভুল ছিল। পরবর্তী সিগন্যালটি একই এরিয়ার আশেপাশে একটি রিভার্সালের ফলে গঠিত হয়েছে, যার পরে এই পেয়ারের মূল্য 1.1132–1.1140 এরিয়ায় নেমে আসে, যেখানে শর্ট পজিশন থেকে লাভ নেওয়া যেতে পারে। এই এরিয়া থেকে বাউন্সের উপরও কাজ করা যেত, কিন্তু এতে খুব বেশি লাভ হয়নি – ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়ে গেছে। শেষ সিগন্যাল নিয়ে কাজ করা সম্ভব ছিল না কারণ এটি খুব দেরীতে গঠিত হয়েছিল।
মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ক্রেতাদের ক্রমাগত চাপে এই সম্ভাবনাগুলো আমাদের চোখের সামনে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে সহজেই অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি চলমান থাকতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করবে। যাইহোক, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে মার্কেটের ট্রেডারদের এই পেয়ারের মূল্যকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করাকে কঠিন বলে মনে করছে। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তির কাছাকাছি থাকতে পারি, কিন্তু নতুন সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, 1.1132-1.1140 এরিয়া থেকে আনুমানিক হরিজন্টাল চ্যানেল 1.1091–1.1191 এর মাঝখানে ট্রেড করা যেতে পারে। যাইহোক, ফ্ল্যাট প্রবণতার মধ্যে বেশ অনিয়মিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0838–1.0856, 1.0888–1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292। মঙ্গলবার, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI এবং JOLTs জব ওপেনিং সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজকের দিনটিতে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বেশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়ে গেছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।