গতকাল, EUR/USD পেয়ারের মূল্য সেইরকম মুভমেন্ট দেখিয়েছে যা আমাদের আশা করা উচিত ছিল। আসুন সংক্ষিপ্তভাবে ঘটনার কালপঞ্জি স্মরণ করি। প্রায় এক সপ্তাহ আগে, নন-ফার্ম পে-রোল রিপোর্ট প্রকাশের পর এবং দুই মাস বুলিশ কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর, অবশেষে এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শেষ হওয়া উচিত ছিল। যেহেতু বিশ্বব্যাপী আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে, তাই ইউরো আবার দরপতন শুরু করবে বলে আশা করা যুক্তিসঙ্গত ছিল। ইউরো পরপর বেশ কয়েকদিন দরপতনের শিকার হয়েছিল, কিন্তু তারপরে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক টানা দ্বিতীয় মাসে মন্থর হয়েছে, যা স্পষ্টতই ডলারের 100-পিপসের দরপতন ঘটায়নি। বুধবার সন্ধ্যায়, ফেডারেল রিজার্ভ FOMC-এর সভার ফলাফল ঘোষণা করেছে। সুদের হার অপরিবর্তিত ছিল, আসন্ন মাসগুলোতে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার কোন ইঙ্গিত ছিল না, ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন যে সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার তুলনায় মূল্যস্ফীতি এখনও খুব বেশি, এবং "ডট-প্লট" চার্টে দেখা গেছে যে FOMC-এর ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা দুর্বল হচ্ছে। সুতরাং, সবকিছুই এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে ডলারের দাম বাড়া উচিত।

তবে দিন শেষে ডলারের দাম কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে এটি 100 পিপসের বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে এবং ফেডের বৈঠকের পরে ডলারের দর 50 পিপসের বেশি বাড়েনি। যদিও এর উল্টোটা হওয়া উচিত ছিল। অতএব, আমরা গতকালের মুভমেন্টকে "কৃত্রিম" বিবেচনা করতে পারি। মার্কেটের অনেক ট্রেডাররা যেমন নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার আশা করেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে, কার্যকর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিতে, মার্কেট মেকাররা ট্রেডারদের স্টপ লস "খাওয়ানোর" জন্য এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী করে। এর পরে, যা হয়েছিল তা হল নিঃশব্দে এই পেয়ারের দরপতন হয়। আমরা জোর দিয়ে বলেছিলাম যে ইউরোর মূল্য আরও কমতে হবে। এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডের সাম্প্রতিক সভাগুলো আমাদের এই বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আস্থা দিয়েছে। মনে করে দেখুন যে ফেড মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রেখে দিয়েছে, যখন ইসিবি ইতোমধ্যে সুদের হার কমাতে শুরু করেছে।

আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি যে ফেডের বৈঠকের 24 ঘন্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়ই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের দ্বারা দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাবিত হয়। গতকাল, এই পেয়ারের মূল্য নিঃশব্দে মুভিং এভারেজের নিচে ফিরে এসেছে, যা আমাদের 4-ঘন্টা টাইমফ্রেমে দরপতনের আশা করার সুযোগ দেয়। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে বৃহস্পতিবারের সামষ্টিক প্রতিবেদনের কারণে ইউরোর দরপতন হয়নি। সকালে, ইউরোজোন শিল্প উত্পাদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। যাইহোক, শিল্প উত্পাদন প্রতিবেদনের গুরত্বের দিক থেকে গৌণ। অনুরূপ প্রতিবেদন প্রায়শই প্রকাশিত হয়, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল এখন কয়েক বছর ধরে কাঙ্ক্ষিত হওয়ার মতো অনেক কিছু রেখে গেছে। যদি ইউরোর প্রতিবার দরতনের দ্বারা ইইউ-এর সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে ইউরো প্যারিটি লেভেলের কাছাকাছি ট্রেড করবে।

ফলস্বরূপ, আমরা বলতে পারি যে EUR/USD-এর সাধারণ চিত্র পরিবর্তিত হয়নি। আমরা এখনও দরপতনের আশা করছি, যদি আমরা মৌলিক, সামষ্টিক অর্থনীতি এবং কৌশল বিবেচনা করি। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য আবার ইচিমোকু সূচক লাইনের নিচে কনসলিডেট হয়েছে, যা নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরুর আরেকটি সংকেত।

14 জুন পর্যন্ত বিগত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হল 86 পিপস, যা একটি গড় মান হিসাবে বিবেচিত হয়। আমরা আশা করছি যে শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0827 এবং 1.0655 এর লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল উপরের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। CCI সূচকটি আবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, কিন্তু এই সময়ে আমরা আশা করছি না যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

S1 - 1.0742

S2 - 1.0681

S3 - 1.0620

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

R1 - 1.0803

R2 - 1.0864

R3 - 1.0925

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

বিশ্বব্যাপী EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য আবারও মুভিং এভারেজের উপরে কনসলিডেট হয়েছে। পূর্ববর্তী পর্যালোচনাতে, আমরা বলেছিলাম যে আমরা লং পজিহসন বিবেচনা করব না এবং আমাদের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। গতকাল মুভিং অ্যাভারেজের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পর শর্ট পজিশন নিয়ে মার্কেটে এন্ট্রি করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা হল 1.0681 এবং 1.0655৷ আমরা এখনও লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি যে বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে এবং ইউরোর দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি নেই।

চিত্রের ব্যাখা:

• লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
• মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
• মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
• অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
• সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।