বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য স্থির ছিল। পুরো দিন জুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল মাত্র 22 পিপস। এটা স্পষ্ট ছিল যে এই ধরনের মুভমেন্টের মধ্যে ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির কোন মানে ছিল না। সাধারণভাবে, এই পেয়ারের মূল্য এখনও একটি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে, যার অর্থ মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যাবে। মনে রাখবেন যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের সমস্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট একটি কারেকশনের অংশ। যাইহোক, যতক্ষণ না এই পেয়ারের কোট এই চ্যানেলের নিচে স্থির হয়, নতুন ট্রেডারদের ইউরোর নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করার আশা করা উচিত নয়। মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির অনুপস্থিতিতে এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য মূলত গতিহীন ছিল। অতএব, শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করার কোন ভিত্তি নেই।
হাস্যকর মনে হলেও এই সম্ভাবনা রয়েছে যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আজ উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে কারণ আজ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সভার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পাউন্ডের মূল্যের অস্থিরতা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে, যার মানে বৃহস্পতিবার ইউরোর মূল্যেরও বেশ ভালই মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের কোনো এন্ট্রি সিগন্যাল তৈরি হয়নি। ইউরোর মূল্য সারা দিন 1.0733 এর লেভেল বরাবর মুভমেন্ট প্রদর্শন এবং এমনকি মূল্য এই লেভেল স্পর্শ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি যে ট্রেডিং সিগন্যালের অনুপস্থিতি সর্বোত্তম পরিস্থিতি। শুধুমাত্র 22-পিপস অস্থিরতার মধ্যে ট্রেড করে লোকসান ছাড়া আর কিছু আশা করার নেই।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের কারেকটিভ ফেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে আবার এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়া উচিত, কারণ ইউরোর মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি রয়েছে এবং সাধারণভাবে, বিশ্বব্যাপী প্রবণতা ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মৌলিক পটভূমি এখনও মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে, এবং FOMC-এর সর্বশেষ সভাও মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে - পাওয়েল এখনও জানেন না যে কখন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার, আমরা আপনাকে 1.0725-1.0733 এর মধ্যে এরিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি মূল্য এই চ্যানেলের নিচে এবং 1.0725-1.0733 এর মধ্যে কনসলিডেট হয়, তাহলে আপনি 1.0611 এবং 1.0678-এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। নির্দিষ্ট এরিয়া থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হলে ইউরোর মূল্য বাড়তে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725-1.0733, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত একটি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়তে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।