সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। মনে রাখবেন যে একই দিনে ইউরোর মূল্য স্থবির ছিল, যখন ইউরোর তুলনায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধি বা কোনো উল্লেখযোগ্য দৈনিক প্রবণতা পরিলক্ষিত হওয়ার জন্য অনেক কম কারণ ছিল। যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল না, তাই আবারও পাউন্ডের মূল্য ভিত্তিহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও কিছু দিন আগে শুরু হওয়া, টেকনিক্যাল কারেকশনকে এই দর বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা যেতে পারে, বর্তমানে, পাউন্ডের মূল্য গত 6-8 মাসের সেরা ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে। অন্য কথায়, পাউন্ডের এই দর বৃদ্ধি ভিত্তিহীন। এটি অব্যাহত থাকলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা শেষ হয়ে যেতে পারে। যদি এই সপ্তাহের মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল হয়ে যায়, তবে ডলারের দাম আরও কমবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2541 লেভেলের আশেপাশে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। মূল্য এই লেভেল থেকে দুবার বাউন্স করে এবং একবার এই লেভেল ভেদ করার চেষ্টা করে। সমস্ত সিগন্যাল যথেষ্ট স্পষ্ট ছিল, কিন্তু মূল মুভমেন্ট কাঙ্খিত হয়নি। প্রথম দুটি সিগন্যালের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য যথাক্রমে 20 এবং 15 পিপস কমেছে, যখন বাই সিগন্যালে এটি 15 পিপস বেড়েছে। যদিও এই পেয়ারের মূল্য দিনের বেলায় স্থবির ছিল না, তবুও এই মুভমেন্ট থেকে লাভ করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর কোনোটিতেই মূল্য লক্ষ্যমাত্রার সীমানায় পৌঁছায়নি।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই কারেকশন বেশ শক্তিশালী হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করি। যাইহোক, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা নির্বিকারভাবে পাউন্ড কেনে, তাহলে কোন কিছুই পাউন্ডের দরপতন ঘটাতে পারবে না।
আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2541 লেভেলের আশেপাশে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রির তাড়া নেই; প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল হতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।