সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি, যা বেশ প্রত্যাশিত ছিল। সোমবারের জন্য নির্ধারিত উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছিল। যাইহোক, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের 27 টির মধ্যে মাত্র একটি দেশ, আজ সামগ্রিক ইউরোপীয় মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট এবং ইউরোর জন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে৷
এর পাশাপাশি, জার্মানিতে এপ্রিলের মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান খুব কমই মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ট্রেডাররা জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 2.3% এ যাওয়ার আশা করেছিল, কিন্তু দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2.2% এ নেমে এসেছে এবং মার্চেও একই হার বজায় ছিল। অতএব, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু ছিল না। এই পেয়ারের মূল্য একটি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে, যা স্পষ্টতই কারেকশন বলে মনে হয়। এই চ্যানেলের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইউরোর মূল্য কমার আশা করছি না। যাইহোক, আগের মতই, আমরা মধ্য মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.0725 লেভেলের আশেপাশে চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য চারবার এই লেভেলে থেকে বাউন্স করেছে। সবচেয়ে অনুকূল পরিস্থিতিতে, এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপস কমেছে। কোন বাই সিগন্যাল ছিল না, তাই শর্ট পজিশনে কোন ক্ষতি হয় না। এই পেয়ারের মূল্য কখনই নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লাভ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু EUR/USD পেয়ার বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন করছে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত, কারণ এটির মূল্য এখনও খুব বেশি, এবং সাধারণভাবে, নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাইহোক, এই মুহূর্তে, এই পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু করার আগে মার্কেট সম্ভবত শক্তি সংগ্রহ করছে।
সোমবার, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে কারণ চ্যানেলের উপরের সীমানা থেকে মূল্যের বাউন্স হয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসলিডেট হয়, তাহলে এটি নতুন দফায় নিম্নগামী প্রবণতা শুরুর সংকেত দেবে। এই ক্ষেত্রে, আমাদের ইউরোর উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করা উচিত।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজ, মার্কেটের ট্রেডার এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতি এবং জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। জার্মানিতে প্রথম প্রান্তিকের খুচরা বিক্রয়, বেকারত্বের হার এবং জিডিপি সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হবে। ফলস্বরূপ, আমরা সকালে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখতে পারি, যা মার্কিন সেশনেও চলমান থাকতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।