বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অটুট রয়েছে, যেমনটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনে পরিলক্ষিত হয়েছে। যাইহোক, গত দুই দিনে ইউরোর দর বৃদ্ধির কিছু কারণ ছিল। মঙ্গলবার, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জব ওপেনিং সংক্রান্ত JOLT-এর প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করেছে, যার ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী বলে প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল, ট্রেডাররা ইইউ-এর মুদ্রাস্ফীতির তথ্য (যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমেছে) সেইসাথে ADP রিপোর্ট (যার ফলাফল ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ উভয় মাসেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে) উপেক্ষা করেছে। এর পরিবর্তে, একমাত্র আইএসএম সার্ভিসেস পিএমআই প্রতিবেদন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যার ফলাফল তুলনামূলকভাবে কম ছিল। অতএব, গত দুই দিনে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে খুব কমই কোনো যৌক্তিকতা আছে। সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু করার জন্য এটি প্রয়োজনীয় ছিল, কিন্তু সামগ্রিকভাবে, ইউরোর মূল্য আবার কোনো আপাত কারণ ছাড়াই বাড়ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.0785-1.0797 এরিয়ায় দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই এরিয়া থেকে মূল্য আবার বেড়েছে, কিন্তু এটি একটি ফলস সিগন্যাল হিসাবে পরিণত হয়েছে এবং এর ফলে নতুন ট্রেডারদের ক্ষতি হয়েছে। তারপর মূল্য 1.0785-1.0797 এরিয়া অতিক্রম করে এবং দিনের শেষে মূল্য 1.0838-এর লেভেলে পৌঁছেছে। অতএব, ট্রেডাররা লং পজিশন থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, সামগ্রিকভাবে, দৈনিক ট্রেডিং থেকে খুব বেশি লাভ করা যায়নি, কিন্তু সেসময় এই পেয়ারের মূল্যের যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল। আদর্শভাবে, 1.0785 লেভেল থেকে একটি নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট শুরু হওয়া উচিত ছিল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু গত দুই দিন ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা যাচ্ছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত, কারণ ইউরোর মূল্য এখনও খুব বেশি রয়ে গেছে, এবং বিশ্বব্যাপী ইউরোর মূল্য প্রবণতা নিম্নগামী। দুর্ভাগ্যবশত, ট্রেডাররা সর্বদা যৌক্তিক পদ্ধতিতে এই পেয়ারের ট্রেড করতে চায় না এবং মাঝে মাঝে, এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হওঁয়।
আজ, ট্রেন্ড লাইনের কাছাকাছি এবং 1.0838-1.0856 এর এরিয়ায় সেল সিগন্যাল খুঁজতে গিয়ে আবারও বিয়ারিশ প্রবণতার উপর আস্থা রেখে ট্রেড করার চেষ্টা করা কার্যকর হতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু পেয়ারটির মূল্য বাড়তে শুরু করার আগে প্রাথমিকভাবে দরপতন হতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বৃহস্পতিবার, ইইউ-এর পরিষেবাস সংক্রান্ত পিএমআই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে, এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আমরা আজ এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প অস্থিরতার আশা করছি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।