এক মুদ্রা ক্রয় এবং অন্য মুদ্রা বিক্রয়ের নীতি অনুসারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজার তৈরি। প্রতিদিনের লেনদেনের পরিমাণ ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রোকার এবং লেনদেন কেন্দ্রের সহায়তায় ট্রেডারেরা পৃথিবীর যে কোন মুদ্রা লেনদেন করতে পারে।
এই প্রবন্ধে আমরা একটি জনপ্রিয় মুদ্রা জোড়া নিয়ে আলোচনা করব। ইউরো- মার্কিন ডলার মুদ্রা জোড়া ৭ই এপ্রিল, ১৯৮৯ সালে বাজারে এসেছে। ইউরো/মার্কিন ডলারের প্রাথমিক রেট ছিল ১.০৪৪৫।
২০০৭ সালের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় সকল লেনদেনের ২৭% ইউরো/ মার্কিন ডলার মুদ্রা জোড়ার হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ফরেক্সে ইউরো/ মার্কিন ডলার জোড়া খুবই জনপ্রিয়। এই জোড়া নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ধরনের ট্রেডারের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটা মার্কেটে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মুদ্রা এবং এর উদ্বায়িতা কম। ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়ার গতিবিধি অত্যন্ত নিখুঁত কিন্তু দিনের মধ্যবর্তী সময়ে এটা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বেশি মুনাফা পেতে ইন্ট্রাডে ও শর্ট-টার্ম ট্রেডারেরা এই মুদ্রা জোড়ার লেনদেন করে।
যে সকল ট্রেডারেরা নিয়মিত ইউরো-মার্কিন ডলারের লেনদেন করে, তাদের সবসময় আমেরিকা এবং ইউরোপ অঞ্চলের সকল অর্থনৈতিক ঘটনা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। এই জোড়া লেনদেনের সাধারণ প্রবণতা অনুসারে চলে। মার্কেটে ঢুকে ট্রেডারদের এই মুদ্রা জোড়ার বর্তমান মূল্য সম্পর্কে ধারনা করতে হয় সেইসাথে, সাম্প্রতিক ধারা এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হয়।
মার্কেটে প্রতিটি মুদ্রা জোড়ার নিদিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে এবং মুদ্রাগুলো বিভিন্ন বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়। ট্রেডারদের এই সকল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হয় এবং এই সকল বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে লেনদেন করতে হয়।