ফরেক্সেলেনদেনের ক্ষেত্রে, আপনাকে জানতে হবে কিভাবে মূলধনের সঠিক বণ্টন করবেন; পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে আপনার কি পরিমাণ তহবিলের প্রয়োজন হবে এবং যদি লোকসান হয়, সেক্ষেত্রে কিভাবে আপনার সম্পূর্ণ আমানত হারানো থেকে বেঁচে যাবেন।
এই লক্ষ্য অর্জনে রয়েছে বিশেষ ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট মেথড (অর্থ ব্যবস্থাপনা কৌশল):
- নো ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট মেথড বেশিরভাগ ট্রেডার যখন একটা পজিশন খোলে, তারা তাদের তহবিলের সম্ভাব্য লাভ ক্ষতির হিসাব না করেই সেটা ব্যবহার করে, এটাকেও একটা কৌশল হিসাবে ধরা হয় কিন্তু মূলধন যদি খুব বেশি না হয়, সেক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যর্থ লেনদেনে সম্পূর্ণ মূলধন শেষ হয়ে যেতে পারে।
- একাধিক চুক্তি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বিভিন্ন উপকরণে বিভিন্ন পজিশন খোলা হয়, উদাহরণ সরূপ, ইউরো/ মার্কিন ডলার এবং ইউরো/গ্রেট ব্রিটেন পাউন্ড, যদি মূল্যের ওঠানামা সঠিকভাবে হয় তাহলে একজন ট্রেডার মুনাফা অর্জন করতে পারে। এই উপার্জনের সময় লাভ অথবা লোকসান উভয়ই হতে পারে।
- নির্দিষ্ট পরিমাণের তহবিলের উপর নির্ভরকরে, একজন ট্রেডার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে একটা পজিশন খোলার সময় সে কি পরিমাণ ঝুঁকি নিতে পারবে। এক্ষেত্রে ট্রেডারেরা চুক্তি করতে তার তহবিলের অধিক পরিমাণের চুক্তি করে না।
- ফিক্সড ইকুইটি ইন্টারেস্ট রেট এই কৌশল পূর্বের কৌশলের মতই কিন্তু কিছু পার্থক্য আছে: ট্র্বেডারেরা ইকুইটি ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করে কিন্তু ইকুইটির পরিমাণ নির্ধারণ করে না।
- লাভ লোকসানের হিসাব করে, সকল কার্যক্রম সম্পাদনের পরিসংখ্যান করতে হয় (লোকসানের পরিমাণ, মুনাফা এবং তাদের মধ্যে অন্তর্নিহিত সম্পর্ক)। আপনি যখন লাভ ও লোকসানের সম্পর্ক বুঝতে পারবেন, তখন আপনি আপনার ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ করতে পারবেন।
- ইকুইটি কার্ভ ট্রেডিং বেশিরভাগ ট্রেডার মুভিং এভারেজ এর সাথে পরিচিত, যা মার্কেটে প্রবেশ বা প্রস্থান করার সঠিক সময় সম্পর্কে সিগন্যাল প্রদান করে। এই পদ্ধতি অনুসারে, লেনদেনের ফলাফল সম্পর্কে পূর্বাভাস করতে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করা হয়। যদি ইকুইটি কার্ভের স্বল্প সময়ের মুভিং এভারেজ দীর্ঘ সময়ের মুভিং এভারেজ এর উপরে হয়, সে ক্ষেত্রে একটা অবস্থান খোলা যেতে পারে এবং সেটা লাভজনক হবে বলে আশা করা যায়। যদি স্বল্প সময়ের মুভিং এভারেজ দীর্ঘ সময়ের মুভিং এভারেজ থেকে কম হয় সে ক্ষেত্রে অবস্থান খোলার পূর্বে কিছু সময় অপেক্ষা করা উচিত।